Header Ads


BANGLA BHASAR SHOBDO VANDER {শব্দ (ব্যাকরণ)}

 

 BANGLA BHASAR SHOBDO VANDER {শব্দ (ব্যাকরণ)}

 

BANGLA BHASAR SHOBDO VANDER {শব্দ (ব্যাকরণ)}

নিচের অনুচ্ছদটি কয়েকবার পড়ে মুখস্ত করে ফেলুন। তাহলে আর ৪০-৪৫ টা তৎসম শব্দ(লাল শব্দগুলো) কষ্ট করে মুখস্ত করতে হবে না।

আমি থাকিতাম ভবনের পঞ্চম তলায়। সেদিন রাতে জানালা খুলিয়া দিতেই চন্দ্রলোক হইতে জ্যোৎস্না আসিয়া আমার গৃহের অভ্যন্তরে প্রবেশ করিল। সাগর হইতে নির্মল বায়ুর ঝাপটা আসিয়া মনকে পুলকিত করিল। এই নির্মল বায়ুর কোমল আঘাতে অন্তরে কাব্যক্ষুধা উপস্থিত হইলেও কবিতায় জীবনের জলছবি আঁকার ক্ষমতা আমার নেই, কেননা আমি কবি নই। আমি বিভিন্ন সময়ে কবিতা লিখিবার চেষ্টা করিয়াছিলাম। কিন্তু তাহার ভাষা ছিল এতটাই উল্টাপাল্টা যে উহা পাঠকের সম্মুখে এক জগাখিচুড়িরূপে উপস্থিত হইয়াছিল এবং সেই অখাদ্য আহার করিয়া যে পাঠকের উদর পূর্তি হই নাই – তাহা বলাই বাহুল্য। এমনকি একজন পাঠক আসিয়া আমাকে শাসাইয়া দিয়াছিলেন যে এই সব এক্ষুনি বন্ধ কর, নচেৎ এই চন্দন কাষ্ঠ দিয়া তোমার চৌদ্দ গুষ্ঠির শ্রাদ্ধ করিব এবং কাশীতে গিয়া তোমার নামে পিণ্ড দান করিব। এই কুৎসিত অভিজ্ঞতার ফল স্বরূপ আমার কাব্যচর্চার সেইখানেই পরিসমাপ্তি ঘটিল। আসলে চাষির কর্ম কৃষি করা, ঋষির কর্ম তাহাকে দিয়া হইবার নহে।

হঠাৎ নক্ষত্র খচিত অগ্রাহায়নের আকাশের পানে চাহিয়া আমার মাতার কথা মনে পড়িল। তিনি ছিলেন একজন সাদাসিধে গৃহিণী এবং আমি ছিলাম তাহার ধর্মপুত্র। তিনি বৈষ্ণব ধর্মে দীক্ষা লইয়াছিলেন এবং তাহার চরণে আমাকে আশ্রয় দিয়াছিলেন। ক্রমেই আমি তাহার প্রিয় পাত্র হইয়া উঠিয়াছিলাম। কিন্তু মনুষ্য জীবনের ব্যাকরণই হইতাছে এই যে তাহা নদীর মত ক্ষণে ক্ষণে বাঁক নিয়া প্রবাহিত হয়।

আমার মাতা গত হইয়াছেন আজ প্রায় দশ বৎসর হইতে চলিল, কিন্তু মধ্য গগণের প্রদীপ্ত সূর্যের মতই তিনি আজো আমার মনের আকাশে জাজ্বল্যমান ।

 

অর্ধ-তৎসম শব্দ:

যে-সব সংস্কৃত শব্দ কিছুটা পরিবর্তিত হয়ে বাংলা ভাষায় গৃহীত হয়েছে সেগুলোকে বলা হয় অর্ধ-তৎসম শব্দ। যেমনঃ জ্যোৎস্না˂>জ্যোছনা, শ্রাদ্ধ >ছেরাদ্দ, গৃহিণী˂>গিন্নী, বৈষ্ণব˂>বোষ্টম, কুৎসিত >কুচ্ছিত।

তদ্ভব শব্দ

বাংলা ভাষা গঠনের সময় প্রাকৃত বা অপভ্রংশ থেকে যে সব শব্দ পরিবর্তিত হয়ে বাংলা ভাষায় গৃহীত হয়েছিলো, সেগুলোকেই বলা হয় তদ্ভব শব্দ। অবশ্য, তদ্ভব শব্দের মূল অবশ্যই সংস্কৃত ভাষায় থাকতে হবে। যেমন- সংস্কৃত ‘হস্ত’ শব্দটি প্রাকৃততে ‘হত্থ’ হিসেবে ব্যবহৃত হতো। আর বাংলায় এসে সেটা আরো সহজ হতে গিয়ে হয়ে গেছে ‘হাত’। তেমনি, চর্মকার˂>চম্মআর˂ >চামার,

দেশি শব্দ

বর্তমান বাংলা ভাষাভাষীদের ভূখণ্ডে অনেক আদিকাল থেকে যারা বাস করতো সেইসব আদিবাসীদের ভাষার যে সকল শব্দ বাংলা ভাষায় গৃহীত হয়েছে সে সব শব্দকে বলা হয় দেশি শব্দ। এই আদিবাসীদের মধ্যে আছে - কোল, মুণ্ডা, ভীম, ইত্যাদি। দেশী শব্দের উদাহরণ কুড়ি (বিশ) - কোলভাষা, পেট (উদর) - তামিল ভাষা, চুলা (উনুন) - মুণ্ডারী ভাষা।

বিদেশি শব্দ
বিভিন্ন সময়ে বাংলা ভাষাভাষী মানুষেরা অন্য ভাষাভাষীর মানুষের সংস্পর্শে এসে তাদের ভাষা থেকে যে সব শব্দ গ্রহণ করেছে, বাংলা ভাষার শব্দ ভান্ডারে অন্য ভাষার শব্দ গৃহীত হয়েছে, সেগুলোকে বলা হয় বিদেশি শব্দ। যে কোনো ভাষার সমৃদ্ধির জন্য বিদেশি শব্দের আত্মীকরণ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আর এদিক দিয়ে বাংলা ভাষা বেশ উদারও বটে।

Enter your email address:

Delivered by FeedBurner